স্টাফ রিপোর্টার: বরিশালে সিটি কর্পোরেশন চাকরিচ্যুত চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীরা চাকরি ফিরে পেতে ও বকেয়া বেতন পাওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বরিশাল নগর ভবন সম্মুখে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সানু লাল জানান, আমাদের গত জানুয়ারির ২ তারিখ হঠাৎ করেই মৌখিক ভাবে চাকরি থেকে বাদ দেবার কথা জানায় সিটি কর্পোরেশনের সিও স্যার। এর পর আন্দোলন করায় এক মাসের বেতন ও পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেবার কথা বললেও এখনো কিছু দেখি নাই। আমাদের ৪০ থেকে ৫০ বছরের চাকরি জীবনে এমন অপমান অপদস্থ হতে হয়নি। কর্ম করে খাচ্ছি এত বছর কিন্তু এখন কোনো নোটিশ ছাড়াই আমাদের পরিবারসহ রাস্তায় নামিয়ে দিলো। সামনে ঈদ অথচ এখন একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি কর্মস্থান হারিয়ে বাড়িগুলোতে শোকের মাতম চলছে।
চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী কল্পনা বেগম বলেন, আমাদের পরিবার আমাদের বেতনের টাকায় চলে। আমাদের গত দুই মাসের বেতন বকেয়া, আবার চাকরি নাই। সিও স্যার ফেব্রুয়ারির ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় নিয়েছেন কিন্তু আজ মার্চ মাসের ৬ তারিখ এখনো কোনো সমাধান আমাদের দেননি। এখন আমাদের হয় বকেয়া বেতন ও চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। নতুবা আমাদের ক্ষতি পূরণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল মহানগর প্রতিনিধি অর্নব মুভিন এ বিষয় বলেন, আমরা বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার স্যারের সাথে সিটি কর্পোরেশন চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের নিয়ে কথা বলেছিলাম। তখন আমাদের চাকরিচ্যুত কর্মীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ কর্মীকে পূর্ণ বহাল অথবা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কাউকে চাকরি দেওয়া এবং চাকরি থেকে বাদ পড়া কর্মীকে এককালীন অর্থ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়ে ছিল। এমনকি এক মাসের বেতন দেবার কথাও বলা হয়েছিলো তখন। আমরা আজ সিটি করপোরেশন সিও কে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার স্যারের সাথে আবার বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো ।
এ বিষয় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার জানান, আমরা ৪৮ জন কে পুনরায় চাকরিতে বহাল কবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বরিশাল টিসি কর্পোরেশনের ইতিহাসে নেই যে চাকরি শেষে কর্মচারীরা এককালীন টাকা পেয়েছেন। আমরা এখন যারা ৬০ বছর বয়স এবং কাজে অক্ষম এবং সিটি করপোরেশনে ২৫ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তাদের দেড় লক্ষ টাকা করে ও ক্রম আনুপাতিক হারে এককালীন টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সাথে যাদের পরিবারে শুধুমাত্র একজনই কর্মক্ষম ও উপার্জন করবার ব্যক্তি ছিলেন তার কোনো সদস্য কাজের পূর্ণ বয়স হলে সিটি কর্পোরেশনে কাজ করবার সুযোগ পাবে।
এদিকে বিভাগীয় কমিশনারের এ সিদ্ধান্তে চাকরিচ্যুত চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে