বরিশালে জলবায়ু ক্ষতিপূরণের দাবীতে ধর্মঘট

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বরিশালে জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য একটি দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য পথ নকশা প্রণয়ন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভিযোজন তহবিল সরবরাহের দাবি জানিয়েছে জলবায়ু কর্মীরা।

আন্দোলনকারীরা সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংশী কার্যক্রম, বিশেষ করে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহারের জন্য দায়বদ্ধ করে তা থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানী প্রসারেরও আহবান জানিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কের বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাস ও ঐতিহাসিকভাবে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে জলবায়ু ধর্মঘটে যোগ দেয়। বৈশ্বিক পর্যায়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ এবং ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের উদ্যোগে পদযাত্রাও অনুষ্ঠিত হয়।

 

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী আশিকুর রহমান সাকিবের সভাপতিত্বে বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উদীচী বরিশাল জেলা সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপারসন আমিনুল ইসলাম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ময়ূরী আক্তার টুম্পা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সোহানুর রহমান বলেন, আমরা সহানুভূতি বা ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে ন্যায়বিচার এবং দায়িত্ববোধের দাবি করি। জলবায়ু কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা, অভিযোজন বা সহনশীলতা বৃদ্ধি কঠিন মনে হতে পারে, তবে এটি অত্যাবশ্যক। কয়লা বিদ্যুতে বিদেশী অর্থায়ন বন্ধ করার প্রতিশ্রতি দেয়ার পরেও, জাপান মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ফেজ ২ অর্থায়নের কথা বিবেচনা করছে। তাদের উচিত কয়লা অর্থায়ন বন্ধ করে তাদের প্রতিশ্রতি রাখা।

আমরা কয়লা বা অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ বাড়ানোর দাবি জানাই।

Comments (০)
Add Comment