স্টাফ রিপোর্টার : কুয়াকাটা থেকে বরিশালের উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে আসছিল নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস পরিবহনের বাসটি। এতে রাস্তা পার হওয়ার সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটি আটকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ছাড়াও রাত ১০টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা-বরগুনা ও ভোলা রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নিহত মাইশা ফৌজিয়া মিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে চাপা দেয় একটি বাস। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, সহপাঠীর মৃত্যুর খবরে শিক্ষার্থীরা বাসটি আটকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ও মেহরাব হোসেন জানান, কুয়াকাটা থেকে বরিশালের উদ্দেশে বেপরোয়া গতিতে আসছিল নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস পরিবহনের একটি বাস। এ সময় হাত উঁচিয়ে সড়ক পার হচ্ছিলেন ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু বেপরোয়া গতির বাসটি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কীর্তনখোলা নদীর উপর দপদপিয়া সেতুর টোল ঘর এলাকায় গিয়ে বাসটি আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
ঘটনাস্থলে থাকা বন্দর থানার এসআই আব্দুল জলিল রাত ১১টার দিকে জানান, শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতে বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।