বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের মেডিসিন ভবনে অগ্নিকান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

১৩ অক্টোবর,রবিবার সকাল ৯টার দিকে ৫ তলা ভবনের নিচতলার পুরুষ মেডিসিন ইউনিটের পাশে লেলিন স্টোরে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুরো ভবনে ধোঁয়া প্রবেশ করলে আতংকে উপস্থিত ব্যক্তিরা দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে।

এ সময় ৫৪৩ জন রোগীসহ তাদের স্বজনরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পরেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় রোগীদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পুরানো ভবনে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে গোডাউনে থাকা চিকিৎসা সামগ্রী পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ড বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঘটনা তদন্তে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ইমরুল কায়েসকে সভাপতি করে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন হয়েছে। এই ভবনে পুনরায় সেবা কার্যক্রম চালু করতে অন্তত তিন দিন সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন দোকানদার বলেন, সকালে ভবনের পাশে বৈদ্যুতিক তারে আগুন জ্বলতে দেখতে পাই। যা বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে পরে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই।

রোগীর স্বজন ইয়াসিন হাওলাদার বলেন, আগুনের খবর ছড়িয়ে পরলে সবাই আতংকিত হয়ে যাই। দ্রুত ভবন থেকে নামতে সবাই দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করে দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্যরা রোগীদের উদ্ধার করে বাইরে খোলা আকাশের নিচে রাখা হয়। পরে আরেকটি ভবনে নিয়ে যায় রোগীদের।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ন মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় হতাহতের খবর আমাদের কাছে নেই। মেডিসিন ভবনের রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সিনিয়র চিকিৎসকরা কাজ করছেন। ভবনের বাকি চারটি ফ্লোরে শুধু ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। মেডিসিন ভবনে রোগী পুনর্বাসন করতে অন্তত তিনদিন সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

শেবাচিম হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, তদন্ত কমিটি তিন কার্য দিবসে রিপোর্ট প্রদান করবে। এরপর অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। ওই ভবনের রোগীদের অন্য ভবনে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। হতাহতের কোন খবর নেই। স্টোররুমে রাখা তুলায় আগুন লেগে যাওয়ায় অসহ্য ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছিলো বলে জানান তিনি।

Comments (০)
Add Comment