নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে একটানা বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে গত ২দিন ধরে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরিণ রুটে লঞ্চ এবং স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পরেছে যাত্রীরা।
অবিরাম বৃষ্টির ফলে বরিশাল বিভাগের সবগুলো নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উপকূলীয় নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া একটানা বৃষ্টির কারনে নগরীর প্রানকেন্দ্র সদর রোড সহ বগুড়া রোড, মুন্সির গ্যারেজ, শীতলাখোলা মোড়, জিয়া সড়কসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতায় জনভোগান্তিতে পরেছে নগরবাসী । এতে করে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা। এছাড়া নগরীর নিন্মাঞ্চলের বাসিন্দারা দুইদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে রয়েছে।
আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪৬ কিলোমিটার। ফলে দ্রুতগতিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল অঞ্চলের কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, গজারিয়া ও কালাবদরসহ একাধিক নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, সব ধরণের লঞ্চ চলাচল দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। নদী বন্দরে ২ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল যাত্রীবাহী ও মালবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।