লালমনিরহাটে নামমাত্র কাজ করে কাবিটা’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মাজারুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় এক প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করে প্রায় ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পিআইও মাজহানুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান রশিদা বেগমের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক দ্বিতীয় কিস্তির আওতায় অনুমোদিত ভোটমারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মোন্নাফের বাড়ি থেকে আতাউরের বাড়ি পর্যন্ত ৬৬০ মিটার রাস্তা মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও বাস্তবে সেখানে কাজ হয়েছে খুবই সামান্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত রাস্তায় কাজ না করে পাশের তিস্তা নদীর ধারের একটি রাস্তায় কিছু শ্রমিক দিয়ে ঘাস পরিষ্কার ও অল্প মাটি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সেখানে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার মতো কাজ হয়েছে।

স্থানীয় জলিল মিয়া বলেন, তিন-চার মাস আগে মাটিকাটার লোকজন এসে রাস্তায় মাটি না দিয়ে শুধু ঘাস ছিলে দিয়েছিলো।

স্থানীয় দোকানদার আতাউর রহমান বলেন, আমিন সর্দারের কিছু লোক এসে ১ দিন শুধু মাটিকাটার কাজ করছে।

এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রশিদা বেগম জানান, নিজে কাজ করলে অনেক দোষ ত্রুটি বের করে পিআইও অফিস। ওনাদের দিয়ে কাজ করালে কোনো সমস্যা হয় না। তাই আমি ওই রাস্তার কাজটি পিআইও অফিসকে দিয়েছি। কাজ শেষে পিআইও অফিস আমাকে ৭০ হাজার টাকা ভাগ দিয়েছে।

ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন দাবি করেন, ওই রাস্তার কাজের কথা আমার মনে নেই। এই কাজগুলো ডিসি এবং ইউএনও স্যার তদারকি করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাজহানুর রহমান বলেন, ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রশিদা বেগম এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি কাজটি করেছেন। আমি বা আমার অফিসের কেউ এ প্রকল্পের কাজ করিনি।

Comments (০)
Add Comment