শিশুদের পদচারণায় মুখরিত বইমেলা, নিজের পছন্দে কিনছে বই

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে এসেছে চার বছর বয়সী শিশু আফরা। ঘুরতে ঘুরতে সিসিমপুর স্টলের সামনে আসতেই ছবি দেখে বই হাতে নেয় সে। পরে মেয়ের পছন্দমতো বই কিনে দেন বাবা।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরের গ্রন্থমেলায় আলাদা করেই করা হয়েছে শিশু চত্বর। শিশু চত্বরের ভেতরে গেলেই দেখা যায়, প্রত্যেক বাবা-মায়ের সঙ্গে একজন বা দুজন করে বিভিন্ন বয়সের শিশু হাঁটাহাঁটি করছে, আবার কেউ কোলে চড়ে ঘুরছে। ছোট্ট সোনামণিদের পদচারণায় মুখরিত শিশু চত্বর।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিশু চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, সাড়ে তিন বছর বয়সী মুনতাহা একা একা হাঁটছে শিশু চত্বরের ভেতরে। হাতে একটি ব্যাগ। মুনতাহার পেছনেই হাঁটছেন তার বাবা-মা।

শিশুদের পদচারণায় মুখরিত বইমেলা, নিজের পছন্দে কিনছে বই

জানতে চাইলে শিশুটির বাবা শরিফুজ্জামান বলেন, মূল মেলায় তো বাচ্চাকে ছেড়ে দিতে পারি না। শিশু চত্বরে সব ছোট ছোট বাচ্চা। এ কারণে নিজের বাচ্চাও একটু হাঁটাচলা করছে। মেয়ের হাতে কী- প্রশ্ন করলে তার বাবা বলেন, একটা বই। মেয়ে নিজের পছন্দে বই কিনেছে। স্কুলে ভর্তি করিনি এখনও। এখানে এসে ওকে ওর মতো করেই ছেড়ে দিয়েছি। যেখানে ইচ্ছা যাচ্ছে, যা ইচ্ছা পছন্দ করছে।

শিশুদের পদচারণায় মুখরিত বইমেলা, নিজের পছন্দে কিনছে বই

শিশু চত্বরে গিয়ে একাধিক অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাবা-মায়েরা শিশু চত্বরে এলে একটু স্বস্তি পান। চারদিকেই ঘেরাও করে মাঝখানে খালি জায়গা রেখে দোকান সাজানো হয়েছে। এখানে ছোট শিশুদের কোল থেকে নামিয়ে দিলেও তারা নিজেদের মতো খেলতে পারে।

শফিকুল আলম নামে এক অভিভাবক বলেন, নিজের জন্য বই কিনিনি। কিন্তু শিশুর জন্য কিনতে হলো। বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করিনি। একসঙ্গে অনেক বই দেখে বাচ্চা নিজেই বইয়ের জন্য বায়না ধরছে।

শিশুদের পদচারণায় মুখরিত বইমেলা, নিজের পছন্দে কিনছে বই

সিসিমপুর স্টলের এক বিক্রয়কর্মী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের স্টলে বাচ্চারা এসে বই পছন্দ করে। অভিভাবকরাও কিনছেন। বাসায় টেলিভিশন দেখে সিসিমপুরের ছবি মুখস্থ করে ফেলেছে বাচ্চারা। এজন্য মেলায় এসে দেখামাত্রই সিসিমপুরকে পছন্দ করছে তারা।

কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসঙ্গে অনেকগুলো বইয়ের দোকান দেখে বাচ্চাদের মধ্যেও আগ্রহ হচ্ছে। নানা ধরনের ফল, পাখি, পশুর ছবি দেখে বই কিনতে আগ্রহী হচ্ছে তারা।

Comments (০)
Add Comment