সেই ২৩ বাংলাদেশিকে ‘চোরাকারবারি’ বলে থানায় হস্তান্তর

অনলাইন ডেস্ক : ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যাওয়া সেই ২৩ বাংলাদেশি নাগরিককে ‘চোরাকারবারি’ হিসেবে মনু বাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে জানিয়েছে বিএসএফ।

ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত সোমবার ছাগলনাইয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। সেদিন দিবাগত রাত ২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকার এক বাংলাদেশিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে বলে গুঞ্জন ওঠে। স্থানীয়রা এ খবর পেয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছাকাছি যায়। এ সময় বিএসএফ জওয়ানরা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এরপর স্থানীয়দের মধ্যে ২৩ জনকে ধরে নিয়ে যায়।

লেফন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আটককৃত ২৩ বাংলাদেশিকে স্থানীয় মনু বাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় মেডিকেল চেক-আপসহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে তোলা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে গত দুই দিন দুইবার বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত বৈঠক হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশি নাগরিকরা ছাড়া পেলে আমরা তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। পুরো বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

বিএসএফ যাদের ধরে নিয়ে গেছে, তারা হলেন- পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন (১৯), রাইসুল ইসলাম (১৯), সামিন (৪০), হারুন (২৩), লিটন (৩০), মাঈন উদ্দিন (২০), রাধানগর এলাকার মহসিন (২৫), কাজী রিপন (৪০), তাজুল ইসলাম সাকিল (২২), হানিফ (৩৫), আবুল হাসান (৩০), ইমরান (২২), রুবেল (২৮), জাফর ইমাম মজুমদার (৪০), মো. ওবায়দুল হক (৪৪), জামাল উদ্দিন (৪০), আরিফ হোসেন (২৪), করিম (২০), ছাগলনাইয়া এলাকার মটুয়া এলাকার খোরশেদ (৩৮), আজাদ হোসেন (২৫), মাহিম (২৫), হারুন (৩২), ইমাম হোসেন (২২)।

তাদের একটি তালিকা বিজিবিকে দেওয়া হয়েছে। ধরে নিয়ে যাওয়াদের জাতীয় পরিচয়পত্র বিজিবিকে দিয়েছেন স্বজনরা।

 

Comments (০)
Add Comment