হাসিনার বিচার না করে পুনর্বাসনের কথা বলে তারা ক্ষমতা পিপাসু লোভী: সারজিস আলম

ম. মনিরুল ইসলাম : খুনি হাসিনার দোসরদের জবাব দিতে হবে। একটি যৌক্তিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই বাংলাদেশে তাদের পুনর্বাসনের কথা যারা বলে আমরা মনে করি খুনি হাসিনার মতো তারা আরেক ধরনের ক্ষমতা পিপাসু লোভী। এই বাংলাদেশে তাদের বিচার হওয়ার প্রশ্নে তাদের একটা কথা হওয়া উচিত- তাদেরকে পুনর্বাসনের প্রশ্নে তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় জুলাইয়ে ৭৯ জন শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাঁচ লাখ টাকা করে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সারজিস বলেন, খুনি হাসিনা সারাজীবন শুধু নিজের পরিবারের গান গাইতে গাইতে ক্ষমতাটাকে অষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রেখেছিল। যেখানে গেছেন সেখানেই তার পরিবার নিয়ে কান্নাকাটি করেছে। তার পরিবারের ১৮ জন মানুষ, আর এই দুই হাজার জন মানুষ না? এদেরকে খুন করার সময় তার বুকটা একটু কাঁপেনি। আজ আমার যে ভাই শহীদ হয়েছে, যে বোন শহীদ হয়েছে, সেই শহীদ পরিবারের বাবা-মা, ভাই-বোনকে আমরা কীভাবে সান্ত্বনা দেব? খুনি হাসিনা সারাজীবন ১৯৭৫ সালের গল্প বলে ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার চেষ্টা করেছেন। এখন তিনি দুই হাজার মানুষকে কীভাবে খুন করলেন? তিনি যদি দরদ বোঝেন তাহলে এ খুনগুলো কীভাবে করতে পারেন? যে রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে সামনে রেখে তারা এ কাজগুলো করেছে তাদের কোনো অধিকারই নেই এই বাংলাদেশে চলার।

তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনার দোসরদের জবাব দিতে হবে। আর এই বিষয়গুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত একটি যৌক্তিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই বাংলাদেশে তাদের পুনর্বাসনের কথা যারা বলে আমরা মনে করি খুনি হাসিনার মতো তারা আরেক ধরনের ক্ষমতা পিপাসু লোভী। এই বাংলাদেশে তাদের বিচার হওয়ার প্রশ্নে তাদের একটা কথা হওয়া উচিত- তাদেরকে পুনর্বাসনের প্রশ্নে তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা এটা আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও করতে দেব না। শহীদদের পরিবারের যৌক্তিক চাহিদা পূরণের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। সেটা শুধু আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে নয়, সেটা শহীদ পরিবারের একজনকে চাকরি দিয়ে হোক, তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে হোকে কিংবা সম্মানীর ব্যবস্থার মাধ্যমে হোকে। আমাদের সাধ্যমত বাংলাদেশের সরকারকেও আমরা অনুরোধ করবো যেন শহীদরা তাদের সম্মান ও তাদের পরিবার প্রাপ্য অধিকারটুকু পায়।

সদস্য সচিব মীর স্নিগ্ধ বলেন, যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, তারা তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। কেউ তাদের কবর জিয়ারত করতে গিয়েছে কি না কিংবা করতে যাচ্ছে কি না, এ কারণে তার আত্মত্যাগ কোনো অংশে কম হতে পারে না। তারা তাদের জীবন দিয়েছেন, এর থেকে বড় আত্মত্যাগ হতে পারে না। তাদের সম্মান সর্বোচ্চ থাকবে।

এসময় অনুষ্ঠানে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান বক্তব্য দেন।

 

 

সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে শহীদদের সম্মান ও পরিবারের প্রাপ্য অধিকার:হাসিনার বিচার না করে পুনর্বাসনের কথা বলে তারা আরেক ধরনের ক্ষমতা পিপাসু লোভী: সারজিস আলম
Comments (০)
Add Comment