২০১৮ এর মতো নির্বাচন ২০২৪ সালে হবে না: চরমোনাই পীর

অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে হবে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সরকারের কাছে একটা মেসেজ (বার্তা) দিতে চাই, সেই ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন ২০২৪ সালে এই দেশে হবে না। আজকে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে সবার এক দফা এক দাবি, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আমি চিন্তিত ছিলাম, গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে যে অবস্থা হয়েছিল, তারপরও যে আপনারা এসেছেন, আমি এতে একই সঙ্গে আনন্দিত ও বিস্মিত।

চরমোনাই পীর বলেন, আপনাদের এই সমাবেশে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটা মেসেজ চলে গেছে যে, ইসলামী আন্দোলন বিপদ দেখে পিছে দৌড় দেওয়ার দল নয়। বিভিন্ন ভয়-ভীতির মধ্যেও মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে ইসলামী আন্দোলন মাঠে থাকবে। এই মেসেজ সব স্থানে চলে গেছে।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ৩ নভেম্বর সরকারের মেয়াদ শেষ। তাই আমরা এই দিনে মহাসমাবেশ করেছি। আমাদের এক দাবি, জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। সরকারবিরোধী দলকে দমন করার জন্য আমাদের বাসকে আটকে দেওয়া হয়, জনসভায় শর্ত দেওয়া হয়। কিন্তু যখন পানির স্রোত বইতে থাকবে, তখন কেউ কিন্তু এই স্রোতকে থামিয়ে রাখতে পারবেন না।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের যে দাবি গুলো জানান সেগুলো হলো—
• ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত ও প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

• বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সব ওলামায়ে কেরামকে মুক্তি দিতে হবে এবং রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে।

• সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

• জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষে বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহের সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থন ঘোষণা করছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমেদ, উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল আউয়াল, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, উপদেষ্টা মুফতি এসহাক মো. আবুল খায়ের এবং ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম।

 

Comments (০)
Add Comment