বিশেষ প্রতিবেদকঃ বিতর্কিত মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিদেশি ৬টি সংস্থা বিবৃতি দিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাগুলো বলেছে, এই নির্বাচন যথাযথ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক—কোনোটিই হয়নি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসমূহ ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী মানদণ্ড মেনে এই নির্বাচন হয়েছে কি না, সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে ছয়টি নাগরিক সংগঠন এই বিবৃতি দিয়েছে সেগুলোর তথ্য নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিতর্কিত মানবাধিকার সংগঠন অধিকার থেকে। আঞ্চলি ও বৈশ্বিক এই সংগঠনগুলো আদিলুর রহমান খানের অধিকারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে শুক্রবার বিবৃতি দেয়।
যৌথ বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো হচ্ছে- এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল), ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন (সিআইভিআইসিইউএস), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), এশিয়ান ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক (এডিএন), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (অস্ট্রেলিয়া) ও অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন)।
এই ছয়টি সংগঠনের হয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার, নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবেদন দিয়েছে অধিকার। অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা আদিলুর রহমান খান বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় সরকারের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়ত্বি পালন করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশের কতিপয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে ছয় সংস্থার বিবৃতি প্রচার করেছে ফলাও করে। যা সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।
কূটনৈতিক রিপোর্টার ও বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ শাহরিয়ার জামান বলেন, ‘এই প্রত্যেকটি সংগঠনের হয়ে বাংলাদেশে কাজ করছে আদিলুর রহমান খানের সংগঠন অধিকার। তাদের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতেই এসব সংস্থা বিবৃতি দিয়ে থাকে। সঙ্গত কারণেই এগুলো একতরফা বিবৃতি।’
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের যেসব গণমাধ্যম এসব বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের বিবৃতি প্রচার করেন তাদের উচিত পুরো বিষয়টি পাঠককে জানানো। অর্থাৎ কিভাবে এই সংগঠনগুলো তথ্য উপাত্ত পায়, কারা সরবরাহ করে এসব বিষয় পরিস্কার করে তুলে ধরা। অর্থাৎ অধিকার যে এসব তথ্য দিচ্ছে সেটা জানানো। তাহলে পাঠকও সঠিক তথ্য জানতে পারবে।’