Take a fresh look at your lifestyle.

আটবার নিলামেও ক্রেতা মেলেনি, লটে তোলা হবে বন্দরে থাকা গাড়ি

৩০

# ১৩ বছর ধরে গাড়িগুলো পড়ে আছে বন্দরের খোলা জায়গায়
# নবম নিলামে বিক্রি না হলে লটে তোলা হবে

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ১৩ বছর ধরে পড়ে থাকা দুটি মাইক্রোবাস নিলামে তুলেও বেকায়দায় পড়েছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ জটিলতা শেষে আমদানিকারক গাড়ি দুটি খালাস না নেওয়ায় নিলামে তোলা হয়। তবে নিলামে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বিডাররা। এ পর্যন্ত আটবার বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে নবম বারের মতো নিলামে তোলা হয়েছে গাড়ি দুটি। চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টম কর্তৃপক্ষ বলছে, গাড়ি দুটির অবস্থা খুবই নাজুক। যে কারণে নিলামে কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কেউ।

চট্টগ্রাম কাস্টমের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে জাপান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ২০০৩ মডেলের একটি রিকন্ডিশন্ড নিশান মাইক্রোবাস। মামলা জটিলতায় পড়ে প্রায় ১৩ বছর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে গোলায় পড়ে স্ক্র্যাপে (নষ্ট হয়ে ব্যবহারে অযোগ্য) পরিণত হয়েছে গাড়িটি। যে কারণে মূল আমদানিকারক এক হাজার ৯৯৮ সিসির গাড়িটি আর খালাস নেননি। এরপর গাড়িটি কাস্টম কর্তৃপক্ষ নিলামে তুললেও তা কিনতে আগ্রহ দেখাননি কেউ। গাড়িটির মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ২১ লাখ টাকা।

অন্যদিকে ২০১০ সালে ১৯৯৮ মডেলের আরেকটি টয়োটা মাইক্রোবাস চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। নিশান গাড়িটির মতো এটিও মামলা জটিলতায় পড়ে। যে কারণে দীর্ঘ ১১ বছরে বন্দরের অভ্যন্তরে খোলা গোলায় পড়ে থাকে দুই হাজার ৪৩৮ সিসির মাইক্রোবাসটি। দীর্ঘ সময় অযত্নে পড়ে থেকে প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে গাড়িটি। দীর্ঘ ঝক্কি পেরিয়ে আমদানিকারকও গাড়িটি আর খালাস নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মাইক্রোবাসটি নিলামে তোলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অকেজো গাড়িটিকে কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বিডাররাও। যে কারণে এ পর্যন্ত আটবার নিলামে তুলেও বিক্রি হয়নি গাড়িটি। তবে অকেজো হলেও গাড়িটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬২ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলামে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, দীর্ঘ ১২-১৩ বছর বন্দরের অভ্যন্তরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় গাড়ি দুটি প্রায় স্ক্র্যাপে পরিণত হয়েছে। যে কারণে ওই দামে (নিলামে ধরা দাম) নিলামকারীরা গাড়িগুলো কিনছেন না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আলী রেজা হায়দার বলেন, আমরা নিয়ম মাফিক নিলামে তুলেছি। এ পর্যন্ত আটবারে মাইক্রোবাস দুটির জন্য আগ্রহী ক্রেতা পাওয়া যায়নি। আগামী নিলামেও কোনো ক্রেতা পাওয়া না গেলে কয়েকটি ভালো গাড়ির সঙ্গে লট বানিয়ে এদুটিকে নিলামে তোলা হবে। যাতে সরকারি রাজস্ব কিছুটা হলেও আদায় করা সম্ভব হয়। তারপরেও ক্রেতা পাওয়া না গেলে নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে স্ক্র্যাপ করার মাধ্যমে গাড়ি দুটি অপসারণ করা হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.