কারাগারে থাকা আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ইভ্যালির শেয়ার নিতে ওই তিনজনের আবেদনের শুনানি নিয়ে সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আগের আদেশ সংশোধন করে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক (কোম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তবে শেয়ার হস্তান্তর হলে এই তিনজন আদালতের অনুমতি ছাড়া সে শেয়ার আর হস্তান্তর করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে তারা এই শেয়ারের বিষয়ে ইভ্যালি নিয়ে হাইকোর্টের গঠিত বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
এছাড়া রাসেল ও শামীমা নাসরিন কারাগারে থাকায় তাদের থেকে শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আইজি প্রিজনকে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ইভ্যালির অফিসের ভবন মালিক শেখ সালাউদ্দিনকে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে উপস্থিত হতে বলেছেন। তিনি হাজির না হলে তাকে গ্রেফতার করে হাইকোর্টে নিয়ে আসতে বলেছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।
আদালতে আজ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ডের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোরশেদ আহমেদ খান। গ্রাহকের রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন। রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শামীম আহমেদ মেহেদী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে।
গত ১৮ অক্টোবর আদালত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করেন। পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড) ইভ্যালির অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারে নানামুখী কার্যক্রম নিয়েছে।