বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীতীর দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করতে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)।
রোববার শুরু হওয়া এ অভিযানে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিসিসির প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।
নগরীর ধান গবেষনা রোড সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীর দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত ৫টি গোডাউন ও নদী তীরের ঘাট সহ অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে বিসিসি। স্থানীয় জনসাধারণ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কারণে নদীর তীর উন্মুক্ত হয়েছে। এতে জনসাধারনের চলাচল এবং বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তারা নদীর তীর ঘেষে একটি বেরীবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ-এর হিসেব অনুযায়ী ৪ হাজার ৩২০ জন দখলদারের তালিকা থাকলেও সম্প্রতি এ দখলদারের সংখ্যা বেড়েছে। সম্প্রতি নদীতীরসহ রসুলপুর বস্তি সংলগ্ন জেগে ওঠা চরেও নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। সেখানে খুটি দিয়ে নদীর মধ্যের জমিও দখল করা হয়েছে। এসব দখলদাররা জমির মালিকানা দাবি করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।
তাই স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ ও সিটি কর্পোরেশনের তদন্তে বেরিয়ে আসা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পরিচালিত হচ্ছে। এই উচ্ছেদ কার্যক্রমের মাধ্যমে নদীর অবৈধ দখলদারমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।