Take a fresh look at your lifestyle.

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ :প্রস্তুত রয়েছে বরিশাল জেলার ৫৪১ টি আশ্রয় কেন্দ্র

১১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন ক্রমশ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে । ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় হামুন  বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, বরিশাল জেলার ৫৪১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে,জান-মালের ক্ষতি এড়াতে জনগণকে সচেতন করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।পাশাপাশি বরিশাল জেলায় ৬১ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক ৩২২ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে, অসহায় দুর্গতদের তাৎক্ষণিক খাদ্য সরবরাহের জন্য ৭৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে উপকূলীয় এলাকা ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে সর্তকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এর সেচ্ছাসেবকরা।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরিশালের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, দিনের বেলা হওয়ায় বর্তমানে বরিশাল বিভাগের ১ হাজার ৮৪৫ টি সাইক্লোন সেল্টারে কেউ আশ্রয় নেয়ার খবর নেই। তবে আবহাওয়ার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যার মধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে ঝূকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিয়ে আসার জোড়ালো কার্যক্রম চালানো হবে।তিনি বলেন, যে কোন ধরনের উদ্ধার কাজে বরিশাল বিভাগের ৫ জেলায় ৩২ হাজার ৫ শত জন সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।

এছাড়া বিভাগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এর দেড়হাজারের অধিক সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।এদিকে  বরিশালের আকাশে মেঘ ও মৃদু বাতাস বইছে,নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৈরি আবহাওয়ার কারনে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে অভ্যন্তরীন রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আকস্মিক লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।

নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনা বিভাগ বরিশালের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অভ্যন্তরীণ ও ঢাকা-বরিশাল রুটের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 

প্রতিটি স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মাছ ধরার নৌকা, যাত্রীবাহী ট্রলারসহ সকলকে নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে। লঞ্চ গুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নোঙর করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে ঘুর্নিঝড় হামুন মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.