বরিশাল সদর উপজেলা সাহেবের হাটের বাসিন্দা পুলিশের দালাল হিসেবে স্বিকৃত রিপন হাওলাদার ও মাদক বিক্রেতা লাবনী আক্তারের বিরুদ্ধে নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের কোস্টাল বরফকল এলাকাবাসীকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কারনে-অকারনে চাঁদা দাবি করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে আসছিল তারা। এতে অতীষ্ঠ হয়ে গত শুক্রবার পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই অভিযোগ জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর দপ্তরেও প্রেরন করা হয়।
সেখানে বরফকল এলাকার বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর দেন। রিপন সাহেবেরহাট বাজারের কুলি হারুন হাওলাদারের ছেলে। লিখিত অভিযোগে থেকে জানা গেছে, ১০নং ওয়ার্ডের কোস্টাল বরফকল এলাকায় দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণীর বসবাস। তারা বিভিন্ন সময় র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ড এবং মৎস্য দপ্তরকে সাহায্য করে আসছে। এ জন্য সেখান থেকে তারা মাছ থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়ত দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর রিপন ও লাবনী ৯৯৯ মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ পাঠায়। পুলিশ গিয়ে বর্তমানে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে যারা মাঝি হিসেবে কর্মরত রয়েছে তাদের বাসায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন মাঝিকে ধরিয়ে দেয়। এরপর দালাল রিপন তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে এবং মামলা হবে না এ কথা বলে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম থাকাকালীন রিপন তার শ্যালক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিত। এরপর থানার দালালী থেকে শুরু করে বরফকল এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো।
এছাড়া রিপনের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিচয়ে দালালী, চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং নারীঘটিত অপরাধের সাথে জড়িত। আর তাকে সহায়তা করছে মাদক বিক্রেতা লাবনী আক্তার।
তাদের হয়রানির অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে ১৪ অক্টোবর বরফকলবাসীর গণস্বাক্ষর আদায় করে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সূত্রঃ দৈনিক কীর্তনখোলা / দৈনিক আজকের পরিবর্তন।