বরিশাল নগরীর সড়ক বাতি ও পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বরিশালে। দেড় ঘন্টা বৈঠক শেষে সমঝোতায় পৌছায় বরিশাল সিটি করপোরেশন ও ওজোপাডিকো।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল ক্লাবে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় বৈঠক করে বরিশাল সিটি করপোরেশন ও ওজোপাডিকো। বৈঠকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ সিটি করপোরেশন ও ওজোপাডিকোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাত ১১টায় বৈঠক শেষ হওয়ার পর বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে এবং সমঝোতা হয়েছে। তেমন কোনো সমস্যা মূলত হয়নি। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিলো, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রটোকল রয়েছে। সেখানে একটু সমস্যা হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের সাথে আলোচনা করতে ঢাকা ও খুলনা থেকে ওজোপাডিকোর কর্মকর্তারা এসেছেন। আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। প্রটোকলগত বিষয়ের কারণে এই দুই দিন সমস্যা হয়েছে। এখন থেকে আর কোনো সমস্যার সমাধান আমরা দেখছি না।
ওজোপাডিকো বরিশালের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। এখন থেকে প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ ও বকেয়া যে বিল রয়েছে সেটি ধীরে ধীরে পরিশোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের সব কিছুই সমাধান হয়ে গেছে। মূলত আমাদের নিয়মিত বিল নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। জনগনের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা সবাই মিলে বসে একমত হয়েছি। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নির্দেশনা বিষয়টি সমাধান হয়েছে। মানুষ ভোগান্তি থেকে মূলত বেচে গেছে এইটাই বড় বিষয়। সিটি করপোরেশনের মেয়র যখন আমি তখন দায়ভারও আমার। অযথা অযুহাত দিয়ে তো লাভ নেই। এখন থেকে প্রতিমাসের বিল প্রতিমাসে দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা যাতে বকেয়া না থাকে। যেহেতু বকেয়া আমাদের ছিলো সেহেতু দায়ভার তো আমাদেরই।
মেয়র বলেন, সড়ক বাতি সব জায়গায় চালু হয়ে গেছে। শুক্রবার থেকে পানির লাইনও চালু হবে। প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাছে ৫৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পাওনা ছিলো ওজোপাডিকোর। সেই বকেয়া পরিশোধ না করায় নগরীর সড়ক বাতির ১৫টি বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওজোপাডিকো। পরে পুরো নগরীর সকল সড়ক বাতির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, পাশাপাশি ১৫টি পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুই দিন নগরীর অন্ধকার থাকার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।