বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নামব্যবহার করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছেএক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
সূত্র মতে বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড ভাটার খাল এলাকার বিআইডব্লিউটিএর দেয়াল ও সড়কের পার্শ্ববর্তী ড্রেন(ফুটপাত)
ব্যবহার করে ছোট ছোট চায়ের দোকান তুলেছে ভাটারখাল এলাকার নিম্ন আয়েরকয়েকজন ব্যাবসায়ী।অসহায় এই মানুষগুলো তাদের জীবিকা নির্বাহ করে এই ভাসমান দোকানের মাধ্যমে।তবে সেখানে দোকান চালাতে হলে দিতে হবে টাকা, এমনটাই জানালেন বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী চিহ্নিত চাঁদাবাজ বিএনপি নেতা সুমন ওরফে কৈতর সুমনকে প্রতি দোকান থেকে প্রতিদিন রাতে ১ শত টাকা করে দিতে হবে। টাকা না দিলে দোকান ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগও রয়েছে সুমনের বিরুদ্ধে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ফুটপাত থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়া যাবে না এমন হুশিয়ারীর পরেও থেমে নেই কৈতর সুমনের চাঁদাবাজি।
স্থানীয়রা জানান, সুমন ওরফে কৈতর সুমন বরিশাল খাদ্য গুদামের লেবার সর্দার আলমগীর হোসেনের জামাই। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এবং সিটি কর্পোরেশনকে টাকা দিতে হয় এমন দাবী করে এখানথেকে টাকা নেয়। ওই স্থানে প্রায় ৮/১০টি দোকান রয়েছে। প্রতিদিন ১শত টাকাকরে নিলে তাতে প্রায় ৮শ থেকে হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। সে হিসাবঅনুযায়ী প্রতি মাসে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সুমন।
যানাগেছে, সুমন বর্তমানে বরিশাল মহানগর শ্রমিকলীগ নেতা পরিমলের আস্থাভাজন হওয়ায় এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সুমন শুধু এখানেই নয় বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকায় আলফা স্ট্যান্ডের নামেও ব্যপক চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে তারবিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ভোর রাতে বিভিন্ন রুটে যাত্রি নিয়ে আলফা মাহেন্দ্রা যায় সেখান থেকেও সুমন প্রতিরাতে চাঁদা উত্তোলন করে। এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন পূর্বে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে সাধারন ড্রাইভাররা। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হয় না বলে অভিযোগ ড্রাইভারদের।
তারা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যাপারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এমন ঘটনার কোন সুযোগ নাই। তবে আমরা বিষয়টি দেখছি এবং অভিযুক্তের ব্যাপারে আইনগতব্যবস্থা গ্রহন করবো।