স্টাফ রিপোর্টার: দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দেয়ায় স্বামীর নির্যাতন ও জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে গত ২০ ডিসেম্বর মামলাটি দাযের করেন নগরীর ৫নং ওয়ার্ড ৭নং পলাশপুরের বাসিন্দা মুন্নি বেগম(৩৪)। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামী মো: মামুন হাওলাদার (৫০) বিরুদ্ধে সমন জারীর নির্দেশ দেন। আসামী উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে আদালত। দায়েরকৃত মামলায় আইনি জটিলতা সৃষ্টি হবার পর আসামী তার স্ত্রীসহ সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ অভিযোগ এনে গত ৩১ জানুয়ারী বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরী দায়ের করেন মুন্নি বেগম ।
গত ২০ ফেব্রুয়ারী কাউনিয়া থানা পুলিশ আসামি মামুন কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। এ সব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জোলা আইনজীবী সমিতির সদস্য লাভলী বেগম।
স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা মামলার বাদী ও আসামী।
মুন্নি বেগমের প্রথম স্বামী মো: ইউসুব মোল্লা মৃত্যুর পর মামুন হাওলাদার ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে গত ০৪-০৬-২০১৬ইং তারিখে নগরীর কাজীপাড়া ২৩ নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে বসে মুন্নি বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মুন্নি বেগম তার স্বামী মামুনকে ড্রেজার ব্যবসার জন্য ৫ লাখ টাকা দেয়। ব্যবসায় লজ হয়ে গত ৫ বছর ধরে কোন কাজ করে না। এখন যৌতুকের দাবীতে আরো ৫ লাখ টাকা চায় মামুন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ৩/৪ বছর ধরে মুন্নির উপর নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে। উপায়ন্ত না পেয়ে সবশেষে আদালতে মামলা (নং ৩৪৬) দায়ের করেছে মুন্নি।
বর্তমানে তিনি নগরীর উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে সুষ্ঠু সহযোগিতা কামনা করছেন।