অনলাইন ডেস্ক: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় সচিবালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি থেকে হযরত আলী (৩৫) নামে এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার বনপাড়া বাইপাস মোড় এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় গাড়িসহ গাড়িচালক মিজান শেখকে (৪২) আটক করা হয়। তিনি মাগুরার শেরপুরের মৃত গোলাম হায়দারের ছেলে এবং ওই গাড়ির মালিক। হযরত আলীর বাড়ি রংপুরে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকার তাজ এন্টারপ্রাইজ নামে পাটের গোডাউনের কর্মচারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হযরত আলীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মিজান।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনপাড়া বাইপাস মোড়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্টিকারযুক্ত জিপে তল্লাশি চালিয়ে পেছনের ডিকি থেকে হাত-পা বাঁধা লাশ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানিয়েছেন, তিনিই ওই গাড়ির চালক ও মালিক। গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় বাড়ি রয়েছে। আশুলিয়ায় একটি জুট গেডাউন ও বিভিন্ন পণ্য তৈরির কারখানার মালিক মিজান। হযরত আলী ওই কারখানায় ক্যাশ কাউন্টারে চাকরি করতেন। আর্থিক লেনদেন নিয়ে গত ২০ মার্চ কারখানার ভেতর হযরতকে চড়-থাপ্পড় মারেন মিজান। ২১ মার্চ বাড়িতে নিয়ে আবার মারধর করেন। এক পর্যায়ে হযরত আলীর মৃত্যু হয়।
লাশ জিপে নিয়ে বিকাল ৫টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে নাটোরের লালপুরে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় অবস্থান করেন মিজান। মঙ্গলবার সকালে হাইওয়ে ওঠেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনপাড়া বাইপাস মোড় এলাকা গাড়ি তল্লাশি করে হাত-পা বাঁধা লাশ পাওয়া যায়।
গাড়িতে সচিবালয়ের স্টিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদুল ইসলাম বলেন, স্টিকারটি সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য যুক্ত করা হয়েছে। রাস্তায় ‘নিরাপদ চলাচলের’ জন্য স্টিকার ব্যবহার করা হতে পারে।
কাশিমপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা পৌঁছালে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।