অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আশপাশের নৌযান থেকে লোকজন চিৎকার করছিল, কিন্তু লঞ্চের ওপর উঠে পড়া জাহাজটি গতি কমায়নি।
রোববার দুপুর ২টার দিকে সোনাকান্দা এলাকায় সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন মালবাহী জাহাজ রূপসী-৯ পেছন থেকে চাপা দিলে ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আশরাফ উদ্দিন-২।
সে সময় নড়িয়া-৪ নামের আরেকটি লঞ্চে নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদারীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন যাত্রী রাকিব আল রাজু। ঘটনার বর্ণনায় বলেন, “২টা ১০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জ নতুন ব্রিজের পাশে পৌঁছার পর দেখি একটি লঞ্চের ওপর জাহাজ তুলে দিয়েছে।
“লঞ্চের উপরে ওঠার পরও শিপটা স্লো করে নাই। এর কারণ হতে পারে, শিপের পাইলট হয়ত এটা দেখেও নাই। আমরা অনেক চিৎকার করেছি। তাতেও কোনো কাজ হয় নাই।”নিজের মোবাইল ফোনে ওই ঘটনার ভিডিও করেন রাজু। সেই ভিডিও ফেইসবুকে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
সেখানে দেখা যায়, রূপসী-৯ জাহাজটি একপাশ থেকে চলন্ত লঞ্চটির ওপর চেপে বসে। লঞ্চের আতঙ্কিত যাত্রীরা নদীতে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন। এ অবস্থা চলে প্রায় ২৫ সেকেন্ড। এক পর্যায়ে লঞ্চটি ডুবে যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জোনের সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল লঞ্চটি। সোনাকান্দা এলাকায় কয়লা ঘাটের কাছে রূপসী-৯ জাহাজটি পেছন থেকে চাপা দিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, রূপসী-৯ সিটি গ্রপের মালিকানাধীন একটি কার্গো জাহাজ। আর জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ভেসেলফাইন্ডারে রূপসী-৯ এর মালিক হিসাবে সিটি সিড ক্রাশিং ইন্ডাস্ট্রিজের নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিটি গ্রুপের পরিচালক পরিচালক বিশ্বজিত সাহাকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।