স্টাফ রিপোর্টার : নগরির ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো.মাহামুদুল হাসান অহি নিহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সহপাঠীরা। পাশাপাশি এসময় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে গতিরোধক, সড়কে অবৈধ যানবাহন ও অবৈধ পার্কিং রোধ করে নিরাপদ করার দাবিও তোলেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নগরের আমতলার মোড়ে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
সম্পর্কিত পোস্ট
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে শুধু মহাসড়কটিই নয়, শহরের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে প্রায় দেড়ঘন্টার মাথায় শিক্ষার্থীরা সড়কটি থেকে অবরোধ তুলে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সাজ্জাদ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অহি পরীক্ষা দিয়ে স্টেডিয়ামে ক্লাসে যায়। আর সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে সেনাবাহিনীর গাড়ি পেছন থেকে আঘাত করে। আর রিকশার কারণে ধাক্কা লেগে সেনাবাহিনীর গাড়ির নিচে অহি চলে গেলে গুরুতর আহত হয়। পরে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে মৃত্যু হয়।অপর শিক্ষার্থী সৌরভ বলেন, অবৈধ যানবাহন ও অবৈধ পার্কিং এর কারণে নগরের বেশিরভাগ সড়ক ও ফুটপাত দিয়ে চলাচল করা যায় না।
তারওপর শের ই বাংলা মেডিক্যালের সামনে থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় সড়ক দখল করে ক্ষুদ্র দোকানপাট গড়ে উঠেছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় সড়ক সরু হয়ে যায়, এ অবস্থায় নিরাপদ সড়কের দাবি আমরা জানিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে তারা দোষীদের বিচারসহ এসব সমস্যা নিরসনে কাজ করবে। তাই তাদের আশ্বাসে বেলা ১২ টার দিকে আমরা সড়ক থেকে সরে এসেছি।ইসতিয়াক আহমেদ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বান্দরোড হচ্ছে শহরের মধ্যের একটি সড়ক, এ সড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা থাকলেও তা থাকে না। আর এ কারণেই আমাদের সহপাঠীর আজ গাড়ি চাপায় মর্মান্তিক মৃত্যু হলো। চালকের অসাবধানতা আর যেন কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্য আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।