প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করার লক্ষ্যে “প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় সাংবাদিকদের ভূমিকা” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি আয়োজনে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।
উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব আনোয়ার জাহিদ এর সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, উন্নত বিশ্বে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থাকায় পরিবেশের ঝুঁকি কম হলেও আমাদের গারবেজ সিস্টেম উন্নত না হওয়ায় এই ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটা বেশি। আমেরিকায় প্রতিবছর মাথাপিছু ১০৯ কেজি প্লাস্টিকের ব্যবহার হলেও বাংলাদেশের শুধুমাত্র ঢাকায় মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার বছরে ২৪ কেজি হলেও উন্নত ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম না থাকায় ঝুঁঁকির পরিমাণ আমেরিকার চেয়েও বেশি।
বক্তারা আরো বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার আমরা সকলেই। মাইক্রো প্লাস্টিক আমাদের শস্য ও মৎস্য উৎপাদনে ইতিমধ্যে প্রভাব ফেলেছে। গবেষণার দেখা গেছে ৯৩ ভাগ বোতলজাত পানীয়তে মাইক্রো প্লাস্টিক রয়েছে। বিশ্বে এখন বছরে ৪৬০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশের প্লাস্টিক ৪০ হাজার কোটি টাকার উপরে। বিশ্বে বাণিজ্যিক প্লাস্টিক উৎপাদনের নয় ভাগ মাত্র রিসাইকেল হতে পারছে। এর ফলে ৭৫ ভাগের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য নদী ও সাগরের ঠাঁই নিয়েছে। ঢাকা শহরের প্রতিদিন ৬৪৬ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এভাবে প্লাস্টিক বোর্ড যে আমাদের জীবন ও জগতকে প্রবাহিত করছে। মতবিনিময় সভা থেকে আমরা আহবান জানাই, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ২০০২ সালে আইন পাশ হলেও এটি ব্যবহারে সচেতনতা গড়ে উঠছে না। উৎপাদন পর্যায়ে প্লাস্টিক কমানো না গেলে প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ করা সম্ভব নয়। তাই প্লাস্টিকের উৎপাদন সীমিত করতে হবে। আগামী দিনগুলিতে পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলা করতে প্লাস্টিক ব্যবহার সীমিত করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে জানান বক্তারা।
ম্যাপ এর নির্বাহী পরিচালক শুভংকর চক্রবর্তীর সঞ্চালণায় গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায়
আরো উপস্থিত ছিলেন, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির কমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং অফিসার আলী আজম আজমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক আনিসুর রহমান খান স্বপনসহ প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিকমুক্ত পর্যটনের দাবিতে র্যালি হয়। পরবর্তীতে মহিপুর জেলে পল্লীতে জেলেদের মধ্যে প্লাস্টিক বিষয়ে সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।