নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমি বরিশালের সন্তান, তাই বরিশালের উন্নয়নে সর্বোচ্চ কাজ করবো। ভাঙা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত ৬ লেন মহাসড়ক অনুমোদন হয়ে গেছে, দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে কুয়াকাটা পর্যন্ত এ ৬ লেন মহাসড়ক করা হবে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের নৌরুটের নৌযান চলাচল সচল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
- ১০ মে,শনিবার বিকালে বরিশাল সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ভাঙার পর থেকে বরিশালের এ অঞ্চলের মহাসড়ক সংকির্ণ থাকার কারণে বরিশাল আসতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি বলেছিলাম, এক সঙ্গে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়ক করতে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলেছে ধাপে ধাপে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে।
- উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বরিশাল স্টেডিয়াম প্রসঙ্গে বলেন, এ অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের কোন স্টেডিয়াম নেই। বরিশাল স্টেডিয়ামের কার্যক্রম শামুকের গতিতে চলছে, দেখে মনে হয় সংস্কার করতে আরও ১০ বছর সময় লাগবে। তিনি বলেন বরিশাল স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করে আগামী ডিসেম্বর মাসেই আঞ্চলিক খেলা দেখতে চাই। বিপিএলও হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চ চলাচল না থাকায় কিছু এলাকায় লঞ্চটার্মিনাল বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ড্রেজিং কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন রুট চালু করবো। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বরিশাল বিভাগের মনপুরা, লাহারহাটসহ বিভিন্ন জায়গায় ৭-৮টি লঞ্চ টার্মিনাল হবে। দক্ষিণবঙ্গে আর যাই হোক নৌচলাচল থাকবে।
- উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা নতুন নতুন রুট খুলতে চাই। একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী স্টিমারও চলবে। চারটি নষ্ট স্টিমার মেরামত শেষে আগামী ৫-৭ মাসের মধ্যে দু-একটি যাত্রী সেবায় নামবে। এছাড়া মেহেন্দিগঞ্জের নদীভাঙন রোধে ৫০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট আছে। এর মধ্যদিয়ে ওই এলাকার নদীভাঙনীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
এছাড়াও বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের কার্যক্রম মোটামুটি শেষ বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী ডিসেম্বরে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ ব্রিজ নির্মাণ শেষ হলে পার্শ্ববর্তী ৪টি উপজেলার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ দূর হবে বলে জানান তিনি।