নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের হিজলা উপজেলায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা মারধর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাতে হরিনাথপুর ইউনিয়নে শাওড়া সৈয়দ খালী পুলিশ ফাঁড়িতে স্থানীয় বাদল সিকদারের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হিজলা থানায় প্রায় দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় বিভিন্ন স্থান থেকে হামলাকারীদের মধ্যে ৭ জন আসামীকে আটক করেছে হিজলা থানা পুলিশ।
শাওড়া সৈয়দ খালী পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে স্থানীয় বাদল সিকদারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মী পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় কনষ্টেবল মেহেদী হাসানকে এলোপাথারি মারধর শুরু করলে আমি তাদেরকে বাধা দিতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর করে। পরে তারা ফাঁড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তাদের এই হামলার ঘটনাটি ফাড়ির সিসি ক্যামেরা ফুটেজে রয়েছে।
কনষ্টেবল মেহেদী হাসান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের পরে বাজার থেকে ফাঁড়ির দিকে আসতে ছিলাম। হঠাৎ একটি ভ্যানগাড়ী সজোড়ে আমাকে ধাক্কা দেয়। তাই ভ্যানগাড়ি চালককে রাগারাগি করেছিলাম। এ ঘটনাটি ভ্যানচালক নেতাকর্মীদের নিকট জানালে তারা আমাকে ফাড়ির মধ্যে এসে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাদল সিকদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস মিয়া জানান, হরিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। আসামীদের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নাম তদন্ত স্বার্থে এখন বলা যাচ্ছে না। বাকি আসামীদের সিসি টিভি ফুটেজে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।