বরিশালে আগামী ৭২ ঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা- অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে জনপথ প্লাবিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশালে গত ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়, পাশপাশি নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের।
বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকাল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা ভারী বৃষ্টি হিসেবে ধরা হয়। ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত, যেটা বুধবার রেকর্ড করা হয়েছিলো।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল বাতাসের গতিবেগ ছিলো, যা ৩০ থেকে ৪০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বাড়তে পারে। এছাড়া নদী বন্দরে ২ নম্বর হুশিয়ারী সংকেত ও সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৭২ ঘন্টা বৃষ্টিপাত থাকবে। দক্ষিণাঞ্চলের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে, এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ২ থেকে ৪ ফুটের অধিক জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ স্থলভাগে উঠে গিয়েছে। বায়ুচাপের তারতম্য ও মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় এমন আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে, বলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ্য পর্যবেক্ষক।
এদিকে বরিশালের কীর্তণখোলা নদী সহ দক্ষিণাঞ্চলের সকল নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে, জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী মো: মাসুম।
কীর্তণখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। হাটু সমান পানি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। খাল ও ড্রেন দিয়ে নদীর পানি উঠছে সড়কগুলোতে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। নগরীর ভাটিখানা, পলাশপুর, সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক, কবি জীবনানন্দ দাশ সড়ক, আমানতগঞ্জ, রসূলপুর, বেলতলা ও সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। অনেক এলাকায় টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতার চিত্রও দেখা গেছে।