কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বরিশালে অনুষ্ঠিত হয়েছে উপমহাদেশের বড় শ্মশান দিপালী উৎসব।
এ উপলক্ষ্যে নগরীর কাউনিয়ায় বরিশাল মহাশ্মশানে রোববার সন্ধ্যায় মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
এসময় মৃতদের পছন্দের খাবার সমাধীতে রেখে উৎসর্গ করা হয়। ৭০ হাজার সমাধির এ মহাশ্মশানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে শ্মশান দিপালী এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিলো। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব সহ সাদাপোষাকে আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করেছে। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছেন শ্মশান রক্ষা কমিটির একশ’ স্বেচ্ছাসেবক।
উৎসব চলাকালে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু ও সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার, কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০৫ বছর ধরে চলা এই মহাশ্মশানে কাঁচা পাকা সমাধি মিলিয়ে প্রায় এখন ৭০ হাজার সমাধি রয়েছে।
উৎসব উপলক্ষে সমাধী মন্দির গুলোকে রংতুলি আচরে নতুন করে সাজানো হয়েছে। প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত, পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী নেতা বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, মনোরমা বসু মাসিমাসহ বহু খ্যাতিমান মানুষের সমাধি রয়েছে এই মহাশ্মশানে।
সম্পর্কিত পোস্ট