নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামাজের জামাত বরিশাল জেলার সহস্রাধিক মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
যার মধ্যে করোনার কারনে টানা দুইবছর পর বরিশাল নগরীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হেমায়েতউদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
এখানে প্রতিবছরের মতো বরিশালের বিভিন্ন আসনের বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের নামাজ আদায়ের কথা রয়েছে।
আর এই লক্ষে এরই মধ্যে প্রধান ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করার কাজ পুরোদমে চলছে বলে জানান বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।
এছাড়া বরিশাল নগরীর এবাদুল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও ১০ টায়, জামে কশাই মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও ১০ টায়, বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল ৯ টা ও ১০ টায় ঈদ উল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে বরিশাল সদর উপজলোর চরমোনাই দরবার শরিফে সকাল সাড়ে ৮ টায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং ঝালকাঠির কায়েদ ছাহেব হুজুরের দরবার শরিফ ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ইয়ার উদ্দিন খলিফা ছাহেব (র.) দরবার শরিফে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় ইমাম সমিতি বরিশাল মহানগর শাখা সূত্রে জানা গেছে, নগরের বেশ কয়েকটি মসজিদে দু’টি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে একক জামাত অনুষ্ঠিত হবে এমন মসজিদের সংখ্যাই বেশি।
জাতীয় ইমাম সমিতি বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা কাজী আব্দুল মান্নান জানান, বরিশাল মহনগরে সাড়ে ৪শত এর মতো মসজিদ রয়েছে। যার মধ্যে ৩ শতাধিকের বেশি মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঈদের নামাজ আদায়ের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। মসজিদে মসজিদের সামনে থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ।