নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে ততদিন দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা তিনি করে যাবেন।
রোববার (২০ মার্চ) সকালে বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দিচ্ছেন। যারমধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯০ হাজারসহ গোটা জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৯২১ টি পরিবার রয়েছে। বরিশাল জেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ২৭০ পরিবার আর এই রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৭২ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে। যদিও এখন প্রথম পর্যায়ে দেয়া হচ্ছে, রমজান মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আবারও পাবেন।যাদের ভিজিডি কার্ড রয়েছে, যারা করোনাকালীন সময়ে আড়াইহাজার করে টাকা পেয়েছেন তাদেরকে এই খাদ্য সাহায্য দেয়া হচ্ছে।
এসময় তিনি উপকার ভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন,যে কার্ডটি আপনাদের দেয়া হয়েছে, সেটি কোন অবস্থাতেই কাউকে দিবেন না এবং হারিয়ে ফেলবেন না। এটা আপনার, এটা আমানত হিসেবে আপনাকে রাখতে হবে। ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকে যত সাহায্য-সহযোগীতা দেয়া হবে তা এই কার্ডের ওপর ভিত্তি করেই দেয়া হবে। এটা মূল্যবান সম্পদ হিসেবে আগলিয়ে রাখবেন, হারাবেন না।
তিনি বলেন, খাদ্য সহায়তাটি টিসিবির ছিলো এটি জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সাধারণ মানুষ অর্থাৎ নিম্ন আয়ের মানুষদের দেয়া হচ্ছে। এ ধরণের একটি প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেছেন এটাই আমার কাছে আশ্চরে্যর। তিনি সবময় দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করেন বিধায় রমজান মাস আসার আগেই বিপুল সংখ্যক পরিবারকে এ সহায়তার আওতায় এনেছেন। অতীতে কোন সরকার এ চিন্তা করেনি। এটাই শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই চিন্তা করেন। আর তিনি দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করেন দেখেই এখানে কিছুদিন আগেও করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা দিয়ে মানুষকে সহায়তা করেছেন।
সম্পর্কিত পোস্ট
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনার ব্যপকতার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রনোদনার মাধ্যমে খেটে খাওয়া, অসহায়-দুঃখী মানুষদের আর্থিক সহায়তা, ত্রাণ সহায়তা ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।বিনামূল্যে মানুষদের মহামারির সংক্রমন প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। সেখানে সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকা ভ্যাকসিন ক্রয় করেছেন।এটা শুনতেও আশ্চর্য লাগে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই ৪০ হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন কেনার মতো সক্ষমতা আজ আমরা অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, এতে বোঝা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কথাই চিন্তা করেন। সাধারণ মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য চিন্তা করেন সবটাসময়। তিনি সবসময় গণভবনে বসে কিভাবে সাধারণ মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানে যায়,কিভাবে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায় সেটাই চিন্তা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,আজ রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে গোটা পৃথিবীতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য, তেলের মূল্যসহ সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সবকিছুর দাম বেড়ে গেলে এই আঘাত আমাদেরও ওপরে আসে, অর্থণৈতিকভাবে। তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রণোদনাগুলো দিয়ে যাচ্ছেন। কোন প্রনোদনার এখন পর্যন্ত ঘাটতি হয়নি এবং বন্ধও করেননি তিনি।জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার থাকবে ততদিন বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষ, নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
আমার আহবান থাকবে আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোআ করবেন, তিনি দীর্ঘজীবি লাভ করুন এবং সাধারণ মানুষকে তিনি যেন সাহায্য দিয়ে যেতে পারেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা,কষ্ট লাঘবে কাজ করে যেতে পারেন।
উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যারা লাইনে দাড়াতে পারে না, সবার সম্মুখে হাত পাততে পারেন না।কিন্তু বিপদে রয়েছেন,তাদের জন্য একটি মোবাইল নম্বর চালু করা হবে। তারা সেই নম্বরে ফোন দিলে তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে আমার পক্ষ থেকে ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, বিসিসি’র ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু।