Take a fresh look at your lifestyle.

বরিশালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ

শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত

১৯
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয় দফা দাবী কর্মসূচীতে পুলিশের লাঠিচার্যে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অর্ধশত আহত হয়েছে।
৩১ জুলাই,বুধবার সকাল ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার পর দুই ছাত্রীসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর বরিশাল জেলার সমন্বয়ক ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ন মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি ছিলো। সেখানে পুলিশ শিক্ষার্থীদের হামলা করেছে। নারী শিক্ষার্থীদের আহত করেছে। এই ঘটনায় অর্ধশত শিক্ষার্থীদের আহত করেছে পুলিশ।
অন্তত ১০/১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। যেভাবে গ্রেপ্তার চালিয়েছে, সেটাও ন্যক্কারজনক।অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি করে ডা. মনীষা পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সাথে নিপিড়ন নির্যাতন বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের নয় দফা মেনে নেয়ার দাবী জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু নেতা রাস্তা অবরোধ করেছিলো। কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা সেইখানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলো এবং পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করে, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে। পরবর্তিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের উঠিয়ে দিয়েছি।
বেশ কয়েকজনকে আটক করেছি তার মধ্য কয়েকজন শিবিরের ছাত্র ছিলো তাদেরকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও আমাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
পুলিশের হামলার শিকার শিক্ষার্থী মৌসুমী বলেন, আমরা নয় দফা দাবী নিয়ে কর্মসূচী পালন করতেছিলাম কিন্তু পুলিশ রাস্তায় আটকানোর অভিযোগ তুলে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। পুরুষ পুলিশরা এসে আমাদের ইচ্ছেমতো পিটিয়েছে।চুল ধরে লাঠিপেটা করছে। ৫০/৬০ জনকে মারছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান,সকাল ১১ টার দিকে বরিশাল নগরীর ফকিরবাড়ী রোড থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। তখন পুলিশ লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। এসময় ঘটনার তথ্য ও ছবি ধারন করতে যাওয়া দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার আলোকচিত্রি ও যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন সহ অন্তত ৫ সাংবাদিক পুলিশী লাঠিপেটায় আহত হয়।
Auto House

Leave A Reply

Your email address will not be published.