নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩জনেরমৃত্যু হয়েছে। বিভাগে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ জন। এই নিয়ে গোটা বিভাগে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫২ জনের মৃত্যু হলো।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে একই সময়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আরও ৮১ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে ভর্তি হয়েছেন। আর এ নিয়ে গোটা বিভাগের ছয় জেলার সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩২৪ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী এলাকার গণেশ চন্দ্র বেপারী (৫৭), বামনা উপজেলার শফিপুরের বেগম (৪৫) ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা এলাকার দুলু বেগম (৪০) বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮১ ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ১৪ জন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং ৪ জন পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে এ দুই হাসপাতালে বর্তমানে ৮৭ ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জন, পটুয়াখালীতে ১৫ জন, ভোলায় ৮ জন, পিরোজপুরে ১৬ জন, বরগুনায় ১৪ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন।বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৭ হাজার ৬৭৭ ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন।
আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ৩০১ জন।এদিকে চলতি বছর গোটা বিভাগে ৫২ ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বোচ্চ ৪১ জন, পিরেজপুরে তিনজন, বরগুনায় তিনজন, ভোলায় তিনজন, পটুয়াখালীতে ১ জন ও পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ দাস বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতাই জরুরি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাবে না।