বরিশালে জেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে সব ধর্মের সম্প্রীতির চমৎকার উদাহরণ। বরিশালে রয়েছে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান, সকলের মাঝে আন্তরিকতার সেতুবন্ধন।
তারই ধারাবাহিকতায় ১১ জানুয়ারি, বুধবার জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে বরিশালে জেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম, বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এস এ মহিউদ্দিন মানিক-বীর প্রতীক,সভাপতি বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব কাজী আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব এস এম জাকির হোসেন, বিজ্ঞ আইনজীবী হীরণ কুমার দাস মিঠু, ইমাম কশাই জামে মসজিদ বরিশাল মাওলানা আব্দুল মান্নান, সভাপতি সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বরিশাল প্রফেসর শাহ সাজেদাসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনরা।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে কুচক্রী মহল নানাভাবে বিদ্বেষ ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরিশাল নগর অশান্ত করতে যারা গুজব ছড়িয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল এবং যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চেয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বরিশাল নগরির নদী বন্দর সংলগ্ন এলাকায় নাস্তার টাকা নিয়ে ক্রেতা ও ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের ম্যানেজারের সাথে বচসা থেকে হাতাহাতি হয়। এসময় গুজব ছড়ানো হয়, ক্রেতার দাড়ি ছিড়ে ফেলেছে। যার ওপর ভিত্তি করে একদল লোক এসে মিষ্টির দোকান ভাংচুর করে, সড়ক অবরোধও করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে দুই পুলিশ সহ ৫ জন আহত হয়। এরপর উত্তেজিতরা কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিচারের দাবীতে। আর কিছু লোক পুরো ঘটনার ভিডিও করে নানানভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ১০ টাকা নিয়ে বিবাদের ঘটনা নিয়ে এমন তুলকালাম কাণ্ড আগে কখনও কেউ দেখেনি।