নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি নদীর পানি। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন পূর্ণিমার জো, বৈরী আবহাওয়া ও উজানের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নদী গুলোর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আর এ কারণে গত কয়েক দিন ধরে এসব নদীতীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠির বিষখালী নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২০ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনা নদী ৭৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা-মেঘনা ৯২ সেন্টিমিটার, ভোলা খেয়াঘাট তেঁতুলিয়া নদী ৯ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে পায়রা নদী ৩ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলার বিষখালী নদী ১৪ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদী ২০ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী ১৭ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার নেমে যাবে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোন প্রভাব নেই।#