নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ৪৬ কর্মকতা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫ জনকে।
বরিশালের মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে বৃহস্পতিবার এই মামলা করেছেন নগর ভবনের পানি শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল কবির।
বিচারক আল-ফয়সাল মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ করেছেন বাদী রেজাউল।
মামলার প্রধান আসামি বিসিসির সাবেক মেয়র ও বরিশাল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিসিসির সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, বিসিসির সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমানে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান, বিসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, পরিসংখ্যানবিদ স্বপন কুমার দাস, সিভিল শাখার সহকারী প্রকৌশলী মকসুমুল হাকিম রেজা, ভেটেনারী সার্জন রবিউল ইসলাম, পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা, সফিকুল ইসলাম আনজুম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, আবুল কালাম রানা, রেজাউল করিম, জহিরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন রনি, ইয়ামীন চৌধুরী, খন্দকার পলাশ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান, রইচ আহম্মেদ মান্না, আতিকুল্লাহ মুনিম, ওবায়েদ হক সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত ও রাজীব হোসেন খান।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মাসব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করে বিসিসি। ওই দিন র্যালি নিয়ে সদর রোডে আসেন বাদী। তখন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তৎকালীন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর শরীরে ড্রেনের ময়লা পানি ছিটকে এসে পড়ে। এতে সাদিক আবদুল্লাহ ক্ষুদ্ধ হয়ে তার নাকের উপর সজোরে ঘুষি দেয়। এতে বাদী রেজাউল কবির রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে অন্যান্য আসামিরা হত্যার উদ্দেশে এলোপাতারিভাবে পিটিয়েছে। এরপর তাকে রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায়। তখন এ বিষয়ে কোন মামলা করলে হত্যা করার হবে বলে এমন হুমকি দেওয়া বলে অভিযোগ বাদীর।