ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিআরটিসি বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার সংর্ঘষে নারীসহ ৪ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত তিনজনকে মূমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বাকেরগঞ্জের হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে নারী ব্যতিত তিনজনের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমির চৌধুরী (৬০), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিব (২৫) এবং ব্যাটারিচালিত অটোচালক সোহাগ (২৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন। তিনি বলেন, বিআরটিসির একটি বাস কুয়াকাটা থেকে থেকে বরিশালের দিকে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলো। অপরদিকে ব্যাটারিচালিত একটি অটো যাত্রী নিয়ে বাকেরগঞ্জের লক্ষ্মীপাশা থেকে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে দুই যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে এক নারী সহ চারজন নিহত হয়। এক শিশু সহ তিনজন আহত হয়েছে। তাদের বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালে নেয়ারপর আরও এক নারী নিহত হয়েছে। পরিচয় জানা না গেলেও তার বয়স ২৫। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর সোয়া একটার দিকে মৃত ঘোষনা করেন। নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রেজাউল করিম সিকদার। এ নিয়ে নিহতর সংখ্যা ৫ জনে দাড়িয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে দুই বছর বয়সী অজ্ঞাত এক শিশু ও ফয়সাল নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছেন
মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলেও বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষে অটোটি দুমরে মুচরে গিয়েছে। বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মানিক মিয়া বলেন, বাসটি হঠাৎ করে ডান দিকে চলে গিয়ে অটোর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আমরা বাসের পিছনে থাকা একটি অটোতে ছিলাম। তারপর আমি আর আমার ছেলে অটো থেকে নেমে সাতজনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। যারা আহত তাদের অবস্থাও আশংকাজনক। দুর্ঘটনায় কার দোষ বুঝতে পারছি না। বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হয়েছে। বাকি তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।