Take a fresh look at your lifestyle.

শেবাচিম’র দুই সহযোগী অধ্যাপকের পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

২৮

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষার্থীদের বা সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) এর দুই সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের বদলি করেছে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত এবং বদলিকৃত দুই জনকে পূর্বের কর্মস্থলে পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে দুই টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনটি করেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেবামেকের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব মাকসুদুর রহমান রানা। তিনি বলেন, “গত ১৬ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই পর্যন্ত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ব্যানারে যত আন্দোলন হয়েছে, সে সব আন্দোলনে আমরা প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষার্থীদের বা সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আকবর কবির এবং সহযোগী অধ্যাপক ও প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রবীর কুমার সাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে পরিকল্পিতভাবে তাদের বদলি করিয়েছে। এই দুই স্যারের বদলি আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা আমাদের সম্মানিত স্যারদের তাদের দায়িত্বে পুনর্বহাল চাই।”

আকবর স্যার ২ নম্বর হলের সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। তিনি নিয়মিত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতেন এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনতেন। অন্যদিকে, প্রবীর স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি কোনো অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এর কোনো প্রমাণ মেলেনি।

জুলাই বিপ্লবের সময় আমরা প্রতিদিন আন্দোলনে উপস্থিত ছিলাম এবং একাডেমিক বিভিন্ন গ্রুপেও সক্রিয় ছিলাম। তবে স্যারদের পক্ষ থেকে কোনো ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মতো ঘটনার মুখোমুখি হইনি। ক্যাম্পাসের যে বা যারা শিক্ষার্থীদের মতামত উপেক্ষা করে, মিথ্যা ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় ব্যবহার করে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের রিপোর্ট জালিয়াতি করে মন্ত্রণালয়ে স্যারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, তাদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। সেই কুচক্রী মহলের মুখোশ উন্মোচন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”

উল্লেখ্য, আন্দোলনের সময় ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর প্রমাণিত হওয়া শিক্ষকদের আগস্টেই আন্দোলনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হুমায়রা আনজুম জুঁই, মুজাহিদুল ইসলাম, মিনহাজুল ইসলাম, আজগর হোসাইন, মাহমুদুল হাসান মুশফিক(ব্যাচ রিপ্রেজেনটেটিভ) , খন্দকার নাজমুস সালেহীন(হল প্রতিনিধি), আলিফ ইসলাম(হল প্রতিনিধি) সহ ৫২তম ব্যাচের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.