নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে সময় টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ব্যুরো প্রধান অপূর্ব অপুকে লাঞ্ছিতর পর প্রাইভেটকারে করে অপহরণ চেষ্টা করা হয়েছে। সাবেক ছাত্রদল নেতা জেহাদ সহ চারজন অংশ নেয় এই অপহরণ চেষ্টায়।
রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় নগরীর শীতলা খোলা এলাকার মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
অপূর্ব অপু জানান, উজিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনার খবর কভারেজ দিয়ে বাসায় এসেছিলাম দুপুরের খাবার খেতে। খাবার খেয়ে হেটে নগরীর কালিবাড়ি রোডে অফিসে সময় টিভির অফিসে যাওয়ার সময় মুমীতু কমিউনিটি সেন্টার থেকে এক ব্যক্তি রিক্সায় করে এসে আমাকে গালাগাল শুরু করে অকথ্য ভাষায়। নিউজ কেন করি, এই সব নিয়ে গালাগাল শুরু করে।
একপর্যায়ে আমার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হলে আমার দিকে ও ইট ও কাঁদা ছুড়ে মারে। তারপর আমি দৌড় দিয়ে মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এলে আরও এক ব্যক্তি আমাকে সাদা একটি প্রাইভেটকারে (বরিশাল মেট্রো গ ১১২১৫৫) উঠানোর চেষ্টা করে। তারপর আবার দৌড় দিয়ে পালাই। এরপর সহকর্মী ও পুলিশকে ফোন দেই। আমার মাথাও আঘাত করা হয়েছে। কি কারণে বা কোন কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা করেছে সেটা বলতে পারছি না।
এক প্রত্যক্ষদর্শী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, প্রাইভেটকারে করে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। সাংবাদিক অপু দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের মধ্যে একজন সাবেক ছাত্রদল নেতা জেহাদ, মামুন ও আলম সহ আরও একজন।
সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশালের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরণ বলেন, প্রকাশ্যে একজন সাংবাদিককে অপহরণ করার যে চেষ্টা করা হয়েছে উদ্বেগজনক। আমরা এর বিচার চাই ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হরিদাস নাগ বলেন, আমরা সিসি টিভি ফুটেজ দেখেছি। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের মালিক শাহিন হোসেন মল্লিক মামুনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দোষীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মঞ্জুর হোসেন বলেন, ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রসঙ্গত, সাবেক ছাত্রদল নেতা বরিশাল নগরীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি এক সেনা সদস্যর বাসায় জমি দখলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে জেহাদের বিরুদ্ধে।