বিশেষ প্রতিবেদকঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংতা না করতে নেতাকর্মীদের বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
একারণে একই এলাকায় দলটির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের বিভক্তি নজরে আসেনি। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, নানা দলের প্রার্থী উপস্থিত আছে এবং তাদের সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণাও চলছে। কোনধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন।
গত সোমবার শেখ হাসিনা বলেন, ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ, প্রযুক্তির বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন। সবাইকে মনে রাখতে হবে কোনো সংঘর্ষে জড়ানো যাবে না। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সহিংতা না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের নির্বাচনে আমরা ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তার ইচ্ছাকে সার্থক করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় এজেন্টদের অত্যন্ত দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এজেন্টরা অনেক সময় আকামের হোতা হয়। ভেতরে বসে দলের জন্য অতি দরদ দেখাতে গিয়ে নির্বাচনের শৃঙ্খলার হুমকিতে ফেলে, এই এজেন্ট আমাদের দরকার নেই। দলে সুনাম যাতে থাকে, এরকম দায়িত্বশীল এজেন্ট আমাদের দরকার।
নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ থাকায় বিএনপি ও সমমনাদের বর্জন এবং ভোটের আমেজে কিছুটা ভাটার মধ্যেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রায় আড়াইশ বিদেশি এবং স্থানীয় ২০ থেকে ২২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা মেনে অনুমোদিত পর্যবেক্ষকরা ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।বিদেশিদের আবেদনগুলো পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি সাপেক্ষে অনুমোদন দেবে নির্বাচন কমিশন।
সব মিলিয়ে তৃণমূলে এখন ইতিবাচক পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন দিতে যেতে মানুষের উৎসাহ বাড়ছে। বিভিন্ন আসনে প্রতিদিনের প্রচারণা দেখে সাধারণ মানুষে উৎসাহিত হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি ও তার সমমনা যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তারা কোন ঘটনা না ঘটাতে চাইলে ভোটারদের উৎসাহ আরও বাড়বে। এবং প্রশাসনের কাজ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা সুষ্ঠু পরিবেশ ধরে রাখতে চান।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রাগীব রহমান বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজবের শক্তিশালী জবাব দিয়ে আমরা আমাদের নতুন ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহিত করবো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিএনপি ও জামাতকে আমি কোন রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচনা করি না। অতএব তাদের নির্বাচন বর্জনকে তেমন গুরুত্ব দেবার দরকার নাই।