নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান ও সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা।
শনিবারের মধ্যে এ দাবি আদায় না হলে রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি করবে বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মীরা। এ সমর্থনে শনিবার বরিশাল নদীবন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটি। মিছিলটি নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, শ্রমিক জোটের সমন্বয়কারী মোজাম্মেল সিকদার ও হারুনুর রশিদ সিকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা করতে হবে। দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহণ নীতিমালা ১০০% কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করতে হবে।
চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহণ অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা শনিবারের মধ্যে বন্ধ না হলে রাত ১২টা থেকে সারাদেশে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।