অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চলছেই। যুদ্ধ চতুর্থ সপ্তাহে গড়ালেও এখন পর্যন্ত কোনো শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রতিদিনই দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে বহু ইউক্রেনীয়। তাদের প্রধান গন্তব্য প্রতিবেশী দেশগুলো। তবে সুদূর নরওয়েতেও আশ্রয় নিয়েছে বহু ইউক্রেনীয় শরণার্থী।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছর ৩০ হাজার ইউক্রেনীয় নরওয়েতে প্রবেশ করবে বলে ধারণা করছেন তিনি। তবে তার দেশ এক লাখ শরণার্থী নিতেও প্রস্তুত। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ের দেশটির পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, তার দেশ লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্যই প্রস্তুত হচ্ছে।
স্টোয়ের বলেন, আমাদের ৫৪ লাখ জনসংখ্যার দেশে যদি ধারণার চেয়ে বেশি শরণার্থী ঢোকে, তাহলে তাদের স্টেডিয়াম, গুদাম, এমনকি তাঁবুতেও থাকতে হতে পারে। তিনি বলেন, এমন ঘটনা যে ঘটবেই- তা নয়। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের অবশ্যই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন সপ্তাহে প্রায় ৩২ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে, যার অধিকাংশই পোল্যান্ডসহ আশপাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
নরওয়েতে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের মতো শরণার্থী ঢুকেছে। সেখানে আরও ৫ হাজার ২৫০ শরণার্থী শিগগির প্রবেশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) নরওয়েজিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব শরণার্থীর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ জন বর্তমানে মলদোভায় রয়েছে, যার মধ্যে ৫৫০ জনের চিকিৎসা প্রয়োজন।
প্
রধানমন্ত্রী স্টোয়ের জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত থাকা দেশ নরওয়ে এ বছর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে ৩৫০ কোটি নরওয়েজিয়ান ক্রাউন (৩৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় বাড়ানোরও পরিকল্পনা করছে।