Take a fresh look at your lifestyle.

কোনো মামলায় রাজনীতিকরা পার পান না, সরকারি কর্মকর্তারা কী করে পান?

অনলাইন ডেস্ক : যে কোনো মামলা হলে রাজনীতিবিদরা পার পান না, অথচ ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করার পর একজন সরকারি অফিসারকে বাঁচানোর জন্য সরকারি বিধিমালা চরম লঙ্ঘন কী করে, হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে দেওয়া বক্তব্যে মুজিবুল হক চুন্নু এ প্রশ্ন করেন।

পত্রিকার প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নিউরোলজি সায়েন্সের বিল্ডিং নির্মাণ এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে আইটির কাজ পান জি কে শামীম। যখন জি কে শামীম গ্রেপ্তার হন, তখন কাজের বিষয়ে অনেক সমালোচনা হয়, তদন্ত হয়। একজন অতিরিক্ত সচিব তদন্ত করে বলেছেন জি কে শামীমকে ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে। মানে কাজের যা বিল তার থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বেশি দেওয়া হয়েছে, কেন দেওয়া হয়েছে এর কোনো কারণ নই।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তদন্তে বেরিয়ে এলো জি কে শামীমের দুইটি কাজেই ডিফল্ট আছে। ঠিকাদারের যে শর্ত সেই শর্ত বরখেলাপ করা হয়েছে, এতে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এবং সরকারি ক্রয় বিধিমালা অনুযায়ী দুইটি পৃথক কাজই জি কে শামীমের কাছেই থাকে। তার ১০ কোটি টাকা যে কাজে অগ্রিম দেওয়া হয়েছে এই টাকাটা সমন্বয় করার জন্য আরেকটা জয়েন্ট ভেঞ্চার করে, সেই জয়েন্ট ভেঞ্চারের কাজের পাওনা হিসেবে ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়।

তিনি বলেন, এটা আইনের চরম লঙ্ঘন। কারণ তার ওই কাজের কারণে এই টাকা বাজেয়াপ্ত হবে সরকারের খাতে, কিন্তু টাকা বাজেয়াপ্ত না করে একজন অফিসারকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত নিয়মকানুন উপেক্ষা করে- লঙ্ঘন করে সেই ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।

চুন্নু বলেন, আমরা রাজনীতিবিদ যে কোনো বিষয়ে একটা মামলা হলে পার পাই না, একজন সরকারি অফিসার ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিলেন, আর তাকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, রুলস, সরকারি ক্রয় বিধিমালার চরম লঙ্ঘন করে তাকে বাঁচানো হলো।

তিনি আরও বলেন, আমি পূর্তমন্ত্রী মহোদয়, যিনি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতির বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স দেখাবেন; আমি আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে ওনার (মন্ত্রী) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো, একজন সচিব কী করে এতো বড় একটা বিষয়কে উপেক্ষা করেন, মন্ত্রীর অনুমোদন লাগেনি, মন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়াই এই কাজটা করেছেন। কিন্তু শাস্তি হিসেবে শুধু তার বেতন এক গ্রেড নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ একই কাজের জন্য আরেকটা ঘটনায় একজন তত্ত্বাবধায়ককে ডিমোশন দেওয়া হয়েছে।

এই সরকারের আমলে কীভাবে এত বড় একটা অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে, আমরা এটা চেয়ে চেয়ে দেখবো এটা কী হয়? মন্ত্রীকে বলবো, বিড়াল প্রথমেই মারেন, এখনই একটা অ্যাকশন নেন, আশা করি ব্যবস্থা নেবেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.